Answer: উভয়ই

Explanation: ক্ষণপদ হল অ্যামিবার দেহের সাময়িক অঙ্গ। এগুলো অ্যামিবার চলাফেরায় সাহায্য করে। ক্ষণপদ অ্যামিবার দেহের যেকোনো অংশ থেকে বের হয়ে আসতে পারে এবং যেকোনো দিকে যেতে পারে। ক্ষণপদ তৈরি হয় এবং আবার অদৃশ্য হয়ে যায়।

ক্ষণপদ অ্যামিবার খাদ্যগ্রহণেও সাহায্য করে। যখন অ্যামিবা খাদ্যকে ঘিরে ফেলে তখন ক্ষণপদ খাদ্যকে অ্যামিবার দেহের ভিতরে নিয়ে যায়।

ক্ষণপদ অ্যামিবার রেখাচিত্রে দেখা যায় না। অ্যামিবার রেখাচিত্রে সাধারণত অ্যামিবার দেহের স্থায়ী অঙ্গ, যেমন নিউক্লিয়াস এবং কন্নিকাজাতীয় বস্তু, দেখানো হয়।

Answer: (ক) আয়তাকার কোশ

Explanation: স্পাইরোগাইরার মতো শৈবালের সূত্রাকার দেহ একাধিক আয়তাকার কোশ দ্বারা গঠিত। এই কোশগুলি একসারিতে সাজানো থাকে। স্পাইরোগাইরার দেহের ভিতরে একটি নিউক্লিয়াস এবং ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। স্পাইরোগাইরা শৈবাল জলীয় পরিবেশে বসবাস করে। এটি স্বাধীনভাবে সাঁতার কাটতে পারে।

উত্তরঃ এককোষী জীব

ব্যাখ্যাঃ অ্যামিবা এককোষী জীব। এর দেহ একটিমাত্র কোষ নিয়ে গঠিত। এই কোষটিই অ্যামিবার সমস্ত কাজ যেমন, খাদ্য গ্রহণ, পরিপাক, শ্বসন, প্রজনন ইত্যাদি করে।

Answer: (ক) কারণ এটি সিউডোপড নামক সাময়িক অঙ্গ তৈরি করে চলাফেরা ও খাদ্যসন্ধান করে।

Explanation: অ্যামিবার আকৃতি সর্বদাই পরিবর্তিত হয় কারণ এটি সিউডোপড নামক সাময়িক অঙ্গ তৈরি করে চলাফেরা ও খাদ্যসন্ধান করে। সিউডোপড অ্যামিবার দেহের যেকোনো অংশ থেকে বের হয়ে আসতে পারে এবং যেকোনো দিকে যেতে পারে। সিউডোপডের সাহায্যে অ্যামিবা চলাফেরা করে, খাদ্যকে ঘিরে ফেলে এবং ভেতরে নিয়ে যায়।

অ্যামিবার কোনো নির্দিষ্ট আকৃতি নেই। এর আকৃতি তার সিউডোপডের অবস্থানের উপর নির্ভর করে। যখন অ্যামিবা সিউডোপড তৈরি করে তখন তার আকৃতি পরিবর্তিত হয়।

অ্যামিবা অবিশ্রান্ত পরিবর্তিত হয় না। এটি শুধুমাত্র যখন চলাফেরা বা খাদ্যগ্রহণ করে তখন তার আকৃতি পরিবর্তিত করে।

Answer: (ক) কোশের বয়স, কোশমধ্যস্থ চাপ ও অন্যান্য শর্ত

Explanation: কোশের আকৃতি কোশের বয়স, কোশমধ্যস্থ চাপ ও অন্যান্য শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হয়।

কোশের বয়স: নবীন কোশগুলি সাধারণত বৃদ্ধ কোশগুলির চেয়ে ছোট হয়। কোশ যত বয়সী হতে থাকে, ততই এর আকৃতি পরিবর্তিত হয়।

কোশমধ্যস্থ চাপ: কোশমধ্যস্থ চাপ হল কোশের ভিতরে থাকা অণুগুলির মধ্যেকার চাপ। কোশমধ্যস্থ চাপ কোশের আকৃতিকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোশের ভিতরে অতিরিক্ত তরল জমে থাকে, তাহলে কোশের আকৃতি বড় হয়ে যাবে।

অন্যান্য শর্ত: কোশের আকৃতি অন্যান্য শর্তগুলি, যেমন জেনেটিক ফ্যাক্টর, পুষ্টির অভাব এবং হরমোন দ্বারাও নিয়ন্ত্রিত হয়।

উত্তরঃ বহুকোষী জীব

ব্যাখ্যাঃ অ্যামিবার দেহ একটি কোশ নিয়ে গঠিত। অর্থাৎ একটি কোশ একটি জীবদেহের সমতুল্য। এরা এককোশী (Unicellular )। মশা, বিড়াল ও হাতির দেহ অসংখ্য কোশ নিয়ে গঠিত। কোশের সংখ্যা সঠিকভাবে গোনা সম্ভব নয়। অর্থাৎ এই ধরনের জীবরা বহুকোশী (Multicellular)। বহুকোশী জীবে বিভিন্ন জীবন প্রক্রিয়া একই সঙ্গে ও অবিছিন্নভাবে ঘটতে পারে। পরিবর্তনশীল পরিবেশে বহুকোশী জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

উত্তরঃ (ক) দণ্ডাকার রডকোশ

ব্যাখ্যাঃ চোখের রেটিনায় মৃদু আলো শোষণে সক্ষম দণ্ডাকার রডকোশ এবং উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম শঙ্কু আকৃতির কোণ (Cone) কোশ দেখা যায়। চোখের রেটিনায় দুই ধরনের কোষ থাকে, দণ্ডাকার রডকোশ এবং শঙ্কু আকৃতির কোণ (Cone) কোশ। দণ্ডাকার রডকোশগুলি মৃদু আলো শোষণে সক্ষম এবং শঙ্কু আকৃতির কোণগুলি উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম।

Answer: (ঘ) সবগুলোই

Explanation: কোনো কোনো ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি গোলাকার, রডের মতো বা কমা চিহ্নের মতো হয়। এই আকৃতিগুলিকে যথাক্রমে কক্কাস, ব্যাসিলাস এবং স্পিরিলা বলা হয়।

কক্কাস ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি গোলাকার হয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াগুলির উদাহরণ হল স্ট্যাফাইলোকক্কাস, স্ট্রেপ্টোকক্কাস এবং নিউমোকক্কাস।

ব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি রডের মতো হয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াগুলির উদাহরণ হল এসচেরিচিয়া কোলাই, সালমোনেলা টাইফিরি এবং বাসিলাস সাবটিলিস।

স্পিরিলা ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি কমা চিহ্নের মতো হয়। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াগুলির উদাহরণ হল ট্রেপোনিমা প্যালিডাম, ভিব্রিও কলেরা এবং ক্যাম্পিউলোব্যাক্টর জেজুনি।

ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি ব্যাকটেরিয়ার জাতের উপর নির্ভর করে। ব্যাকটেরিয়ার কোশের আকৃতি জানা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি ব্যাকটেরিয়ার শনাক্তকরণ এবং রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে।

উত্তরঃ (খ) কোণকোশ

ব্যাখ্যাঃ চোখের রেটিনায় মৃদু আলো শোষণে সক্ষম দণ্ডাকার রডকোশ এবং উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম শঙ্কু আকৃতির কোণকোশ দেখা যায়।