সওদা বিনতে যাম‘আহ
Table of Content:
সওদা বিনতে যাম‘আহ /সাওদা বিনতে জামআ /সাওদা বিনতে যাময়া
নাম্বার | নবীজির স্ত্রী | নবীজির বয়স | স্ত্রী বয়স | অন্যান্য তথ্য | ২. | সওদা বিনতে যাম‘আহ (سَوْدَةُ بِنْتُ زَمْعَةَ) |
৫০ | ৫০ | অন্যান্য তথ্য:
|
সংক্ষিপ্ত পরিচয়
সওদা (রাঃ) আরবের প্রখ্যাত কোরায়েশ গোত্রের আমর বিন লুমি শাখার সাথে সম্পর্কিত । তার পিতা যাময়া বিন কয়েস বিন আবদুল শামস । তার মাতার নাম সামুস । যিনি বনু নাজ্জার গোত্রের মেয়ে ছিলেন। তাই সওদার ধমনীতে আরবের দুটি মশহর খান্দানের রক্ত প্রবাহিত ছিল । তিনি দীর্ঘাঙ্গিনী ও সুন্দরী ছিলেন। যৌবনকালে তার বিবাহ চাচাত ভাই সাকরান বিন আমরের সাথে অনুষ্ঠিত হয়। সাকরানের ঔরশে তিনি এক পুত্র সন্তান লাভ করেন । তার নাম আবদুর রহমান (রাঃ)। আবদুর রহমান ওমর (রাঃ)-এর খেলাফত কালে কোন এক যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন ।
পিতা মাতা
তার পিতা যাময়া বিন কয়েস বিন আবদুল শামস । তার মাতার নাম সামুস । যিনি বনু নাজ্জার গোত্রের মেয়ে ছিলেন।
জন্ম
মৃত্যু
সাওদাহ (রাঃ) ৪৫ হিজরীতে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন।
সওদা রাদিয়াল্লাহু আনহা উমর (রাঃ)-এর খেলাফত কালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন.............। কোন কোন ইতিহাসবেত্তার মতে আমির মা’বিয়ার শাসনামলে তিনি মৃত্যু বরনণ করেন । পাক ভারতের মশহুর আলেম ও গবেষক আল্লামা সৈয়দ সুলায়মান নদভী প্রথমোক্ত অভিমত সঠিক জ্ঞান করেন । তিনি পাঁচটি হাদীস বর্ণনা করেছেন।
বিবাহ
ক্রমিক সংখ্যা | স্বামীদের নাম | সন্তান-সন্ততি |
1 | সাকরান বিন আমর | সাকরানের ঔরশে তিনি এক পুত্র সন্তান লাভ করেন । তার নাম আবদুর রহমান (রাঃ)। |
2 | মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) |
নবীজির পূর্বে স্বামী ছিলেন: সাকরান বিন আমর ( সাওদাহ (রাঃ) তাঁর চাচাত ভাই)। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর কারণে তাঁকে বৈধব্য বরণ করতে হয়েছিল। সাওদা ও তার পূর্ব স্বামী সাকরান বিন আমর(سَكْرَانُ بن عَمْرو) উভয়ে ইসলাম কবুল করার পর হাবশায় হিজরত করেন। অতঃপর সেখানেই অথবা সেখান থেকে মক্কায় ফিরে এসে তার স্বামী ইনতেকাল করেন।
খাদীজা (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর বিপর্যস্ত সংসারের হাল ধরার জন্য এবং মাতৃহারা কন্যাদের দেখাশুনার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সাওদাহ বিনতে যাম‘আহ নাম্নী জনৈকা বিধবা মহিলাকে বিবাহ করেন ১০ম নববী বর্ষের শাওয়াল মাসে। উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ)-এর ৪ কন্যার মধ্যে ৩য় ও ৪র্থ উম্মে কুলছূম ও ফাতেমা তখন অবিবাহিতা ছিলেন। সাওদা ও তার পূর্ব স্বামী সাকরান বিন আমর(سَكْرَانُ بن عَمْرو) উভয়ে ইসলাম কবুল করার পর হাবশায় হিজরত করেন। অতঃপর সেখানেই অথবা সেখান থেকে মক্কায় ফিরে এসে তার স্বামী ইনতেকাল করেন। এ সময় মৃত স্বামীর পাঁচটি বা ছয়টি সন্তানের গুরুভার এসে পড়েছিল সওদার উপরে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য তার সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্বসহ সওদাকে বিয়ে করেন।[1] সওদা অত্যন্ত দৃঢ় ঈমানের ও বলিষ্ঠ চরিত্রের মহিলা ছিলেন। তিনিই প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেন। অতঃপর তার প্রভাবে তার স্বামী সাকরান ইসলাম কবুল করেন। তাঁরা ১ম হাবশায় হিজরতকারী ৮৩ জনের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইসলামের জন্য তাদেরকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে হয় (ইবনু হিশাম ১/৩২১-৩২)।
[1]. আহমাদ হা/২৯২৬; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৫২৩।
ইসলাম গ্রহণ
সাওদা ও তার পূর্ব স্বামী সাকরান বিন আমর(سَكْرَانُ بن عَمْرو) উভয়ে ইসলাম কবুল করার পর হাবশায় হিজরত করেন। অতঃপর সেখানেই অথবা সেখান থেকে মক্কায় ফিরে এসে তার স্বামী ইনতেকাল করেন।