- A “মানী” নামক একজন দার্শনিক
- B খৃস্টীয় ধর্মীয় গুরু
- C বৃদ্ধ যাত্রী
- Share this MCQ
যরথুস্ত্র ধর্ম প্রথম দিন থেকেই আলো ও অন্ধকার, ভাল ও মন্দের দ্বন্দ্ব এবং ভালোর খোদা ও মন্দের খোদার মধ্যকার সংঘাত-সংঘর্ষের মতবাদের ওপর কায়েম ছিল। খৃস্টীয় ৩য় শতাব্দীতে “মানী” নামক একজন দার্শনিক এই ধর্মের সংস্কারক হিসাবে আবির্ভূত হন। এরপর সম্রাট শাহপূর [সাসানী সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট আর্দেশীর (মৃ.১৪১ খৃ.)-এর পরবর্তী শাসক] প্রথমে এই ধর্মের অনুসারী ও আহ্বায়ক, অতঃপর এর বিরোধী হয়ে যান। বিরোধী হওয়ার কারণ এই ছিল যে, মানী দুনিয়া থেকে যাবতীয় মন্দ ও অন্যায়-অরাজকতার বীজ নির্মূল করবার জন্য নিঃসঙ্গ ও একক জীবন যাপনের আহ্বান জানাতেন। তার আহ্বান ছিল এই যে, আলো ও অন্ধকারের মিশ্রণ স্বয়ং নিজেই এমন এক অন্যায় ও মন্দ যার হাত থেকে মুক্তি লাভ করা মানুষের জন্য জরুরী। তিনি আত্মবিলুপ্তি ও নাস্তির মধ্যে বিলীন হবার জন্য ও অন্ধকারের ওপর আলোর প্রাধান্য অর্জনের নিমিত্ত মানব বংশের ধারা খতম করার এবং দাম্পত্য সম্পর্ক নিঃশেষ করার পন্থা অবলম্বন করেন । কয়েক বছর তিনি নির্বাসনে কাটান। এরপর ইরানে ফিরে আসেন এবং ১ম বাহরামের শাসনামলে মৃত্যুবরণ করেন। কিন্তু তার প্রদত্ত শিক্ষামালা তার মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে এবং ইরানী চিন্তা-চেতনা ও ইরানী সমাজকে বহুকাল অবধি প্রভাবিত করতে থাকে।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 55]Share this MCQ