- A ৬ জন
- B ১০ জন
- C ১১ জন
- Share this MCQ
মুসলিম বাহিনী তীর-ধনুক নিয়ে সদাপ্রস্ত্তত থাকেন, যাতে শত্রুরা পরিখা টপকে বা ভরাট করে কোনভাবেই মদীনায় ঢুকতে না পারে। মুসলিম বাহিনীর এই নতুন কৌশল দেখে কাফের বাহিনী হতচকিত হয়ে যায়। ফলে তারা যুদ্ধ করতে না পেরে যেমন ভিতরে ভিতরে ফুঁসতে থাকে, তেমনি রসদ ফুরিয়ে যাওয়ার ভয়ে আতংকিত হ’তে থাকে। মাঝে-মধ্যে পরিখা অতিক্রমের চেষ্টা করতে গিয়ে তাদের ১০ জন নিহত হয়। অমনিভাবে তাদের তীরের আঘাতে মুসলিম পক্ষে ৬ জন শহীদ হন’।[2] উক্ত ৬জন হ’লেন, আউস গোত্রের বনু আব্দিল আশহাল থেকে গোত্রনেতা সা‘দ বিন মু‘আয, আনাস বিন আউস ও আব্দুল্লাহ বিন সাহল। খাযরাজ গোত্রের বনু জুশাম থেকে তুফায়েল বিন নু‘মান ও ছা‘লাবাহ বিন গানমাহ। বনু নাজ্জার থেকে কা‘ব বিন যায়েদ। যিনি একটি অজ্ঞাত তীরের মাধ্যমে শহীদ হন (ইবনু হিশাম ২/২৫২-৫৩)। এঁদের মধ্যে আহত সা‘দ বিন মু‘আয (রাঃ) বনু কুরায়যা যুদ্ধের শেষে মারা যান (ইবনু হিশাম ২/২২৭)।
(২) পরিখা খননের সময় মুহাজির ও আনছারগণ প্রত্যেকেই সালমান ফারেসীকে নিজেদের দলভুক্ত বলে দাবী করেন। তখন রাসূল (ছাঃ) বলেন, سَلْمَانُ مِنَّا أَهْلَ الْبَيْتِ ‘সালমান আমাদের পরিবারভুক্ত’ (হাকেম হা/৬৫৪১; ইবনু হিশাম ২/২২৪)। বর্ণনাটির সনদ যঈফ। আলবানী বলেন, বরং খবরটি আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। যা মওকূফ ছহীহ। বর্ণনাটি হ’ল, আলী (রাঃ)-কে বলা হ’ল, আমাদেরকে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সাথীদের বিষয়ে বর্ণনা করুন। জবাবে তিনি বললেন, তাঁদের কার সম্পর্কে তোমরা জিজ্ঞাস করছ? তারা বলল, সালমান। তিনি বললেন, তিনি প্রথম যুগের এবং শেষ যুগের ইল্ম প্রাপ্ত হয়েছেন। যা এমন এক সমুদ্র, যার তলদেশ পাওয়া যায় না। তিনি আমাদের পরিবারভুক্ত’ (যঈফাহ হা/৩৭০৪-এর আলোচনা; মা শা-‘আ ১৬৫ পৃঃ)।
Share this MCQ