- A বুহায়রা
- B ওয়ারাকা
- C আব্দুল্লাহ ইবনে জাদআন
- D নাজ্জাশী
- Share this MCQ
ওয়ারাকা ইবন নওফলের মজলিসে:
হযরত খাদীজা (রা) এ কথাগুলো তাঁর সুস্থ প্রকৃতি ও বিশুদ্ধ ফিতরত, অধিকন্তু আপন জীবনের অভিজ্ঞতা ও লোকের সম্পর্কে জানা-শোনার ভিত্তিতে বলেছিলেন। কিন্তু এই ব্যাপারটি ছিল বড় ধরনের এবং এতে এমন কোন লোকের পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন ছিল যিনি বিভিন্ন ধর্ম ও সে সবের ইতিহাস, নবুওয়াত ও তার মেযাজ, অধিকন্তু কিতাবীদের সম্পর্কে বেশ ভালভাবে অবহিত, যার নিকট আম্বিয়ায়ে কিরামের ঘটনাবলী ও তাঁদের জ্ঞানের কিছুটা ছিটোফোঁটা হলেও বর্তমান ।
তিনি ভাবলেন যে, তাঁর জ্ঞানী ও মনীষী চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নওফলের সাহায্য নেয়া দরকার। অনন্তর তিনি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে সাথে নিয়ে তাঁর কাছে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (সা) ওয়ারাকাকে সমগ্র ঘটনা বিবৃত করলেন। ওয়ারাকা শুনতেই বলেন : কসম সেই পবিত্র সত্তার যাঁর হাতে আমার জীবন! আপনি এই উম্মতের নবী! আপনার নিকট সেই নামুসে আকবর এসেছিলেন যিনি হযরত মূসা (আ)-র নিকট এসেছিলেন। একদিন আসবে যখন আপনার জাতি ও সম্প্রদায় আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে এবং কষ্ট দেবে, আপনাকে বের করে দেবে, আপনার সঙ্গে যুদ্ধ করবে। রাসূলুল্লাহ (সা) যখন এ কথা শুনলেন যে, আপনার জাতি ও সম্পদ্রায় আপনাকে বের করে দেবে তখন কিছুটা আশ্চর্য হলেন। কেননা তিনি জানতেন যে, কুরায়শ সমাজ তাঁর অবস্থান ও মর্যাদা সম্পর্কে অবহিত এবং তিনি এও জানতেন যে, তাঁকে সাদিক (সত্যবাদী ) ও আমীন (বিশ্বস্ত, আমানতদার) বলতে তাদের মুখে ফেনা উঠে যায়। তিনি বিস্ময়ের সূরে জিজ্ঞেস করলেন, “তারা আমাকে বের করে দেবে!" ওয়ারাকা জওয়াব দিলেন, “হ্যাঁ, আপনি যেই পয়গাম নিয়ে এসেছেন সেই পয়গাম যখনই অন্য কেউ নিয়ে এসেছেন তখন লোকে তাঁর শত্রুতা সাধনে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে এবং তাঁর সঙ্গে যুদ্ধে নেমেছে। বরাবরই তাই হয়ে এসেছে। আমি যদি সেদিন থাকি আর আমার হায়াতে যদি কুলায় তাহলে সর্বশক্তি দিয়ে আমি আপনাকে সাহায্য করব।”
এরপর অনেক দিন যাবত ওয়াহীর সিলসিলা বন্ধ থাকে। পুনরায় এর ধারা শুরু হয় এবং কুরআন মজীদ নাযিল হতে থাকে ।
Share this MCQ