এক বালকের আবেগ ভরা কিছু টুকরো কথা তার মায়ের জন্য | Post 4
14. এক বালকের আবেগ ভরা কিছু টুকরো কথা তার মায়ের জন্য
প্রিয় মা, তোমাকে উদ্দেশ্য করে কোনদিন লিখেছি কিনা আজ আর মনে করে বলতে পারিনা। মনে করতে পারিনা তোমার জন্যে কতগুলো শব্দকে মস্তিষ্ক থেকে কাগজে স্থানান্তর করেছি। তাতে কি হয়েছে? তোমার উপর আমার আজন্ম অধিকার, আজ লিখব! নিঃশ্বাস কোন মুহূর্তে নেওয়া শুরু করেছি, তাও তো মনে নেই আমার... শ্বাস নেওয়া তো থামিয়ে দেইনি।
তুমি জেনে থাকবে, কোন মুহূর্তে প্রথম প্রান বায়ুটি নিজেতে নিয়েছিলাম। তুমি জেনে থাকবে, আমি প্রথম কখন কেঁদেছি, কিভাবে।
এই পৃথিবীতে সবথেকে প্রথম তুমি আমায় ভালবেসেছ । আমি যখন সবুজ দেখিনি, অবুঝ কাঁদিনি, তারও আগে থেকে লালন করেছ মমতা, আমার তরে।
শত-কোটিবার তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি, এটা কোথায়, ওটা কোথায় ... তুমি অক্লান্ত উত্তর দিয়ে গেছ ... বিনা প্রতিবাদে। আমার প্রতিটি জিনিষের এনসাইক্লোপিডিয়া যেন তুমি! আমার পছন্দের জিন্সটি কবে আমার লাগবে আমার তা জানা নেই, তুমি কিভাবে যেন ঠিকই জান। তুমি হচ্ছ সেই মানুষ, যে আমার থেকেও আমাকে বেশী চেনে। আমার মন খারাপ দেখে তোমাকে দুঃখ পেতে দেখেছি... আমাকে রেগে থাকতে দেখে তোমাকে কাঁদতে দেখেছি। আমার অসুখে-বিসুখে তোমাকে পাশে পেয়েছি..... ঘণ্টার পরে ঘণ্টা যখন আমার অসুস্থ আমার জন্যে ব্যয় করেছ, আমি কৃতজ্ঞ কেঁদে চোখের পানি লুকিয়েছি কতবার সে হয়ত শুধু সৃষ্টিকর্তা জানেন।
তোমার শাসনের প্রতিটি শব্দ যে কতটা মুল্যবান আজ বুঝতে পারি কিছুটা... প্রতিটি শব্দ ছিল আমার কল্যানে। আমার ভালোর জন্যে। সব সব সব আমার! তোমার কি মা? আমিও কি তোমার হতে পারলাম বল? নিয়মের নিষ্ঠুরটায় তোমার বাঁধন ছিঁড়ে এসে পড়েছি দেখ।
কত বেশি ভালবেসেছ মা? আমি তো তোমায় এতো ভালবাসতে পারিনি! তোমার অসুখে সেবা করিনি রাত জেগে, কষ্ট দিয়েছি, অনেক অনেক কষ্ট দিয়েছি। সব সময় নিজেকে নিয়ে থেকেছি, তোমায় ছেড়ে একা থেকেছি... আজও তোমায় ছেড়ে এতো দূরে চলে এসেছি, তোমাকে একা করে দিয়ে। অপরাধী লাগে, যখন তোমার এতো এতো কিছু দেবার বিনিময়ে কিছুই দিতে না পারার যন্ত্রণা এসে ঘিরে ধরে। যে মুখটা তোমার দেখতে ইচ্ছে করে, সেই তোমার সন্তানের সময় হয়ে ওঠে না তা দেখানোর।
15. এক বালকের আবেগ ভরা কিছু টুকরো কথা তার মায়ের জন্য
আমার মা এমন একজন মা যিনি জীবনে সবকিছু ত্যাগ করেছেন শুধু আমার জন্য।আমার মায়ের মা মারা যায় ছোটবেলায়।তাই নানা আর একটি বিয়ে করেন।আমার সৎ নানু মহিলাটা ভাল ছিলেন না।আমার মাকে দিয়ে সারাদিন কাজ করাতেন।ক্লাশ ৭ পর্যন্ত পড়িয়েই তাড়াতাড়ি আমার মাকে বিদায় করেন তিনি।মা পড়তে খুব আগ্রহী ছিলেন কিন্তু পড়তে পারেননি।
স্বামীর ঘরেও মা সুখ খুঁজে পাননি।মাকে ধরে মারধর করত বজ্জাত লোকটা।নেশা করা,জুয়া খেলা ছিল তার প্রতিদিনের অভ্যাস।মা কষ্ট সহ্য করে এই লোকটার সাথে সংসার করছিলেন।আমার একটা বড় ভাই ছিল।ভাইয়ার জন্মের ২ বছর পর আমার জন্ম হয়।মা যখন দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হয় তখন ঐ লোকটা আমার মাকে জোর করতে থাকে এবোরশন করে ফেলার জন্য।তার নাকি এখন আর সন্তানের প্রয়োজন নেই।৩,৪ বছর পরে ভেবে দেখবে।কিন্তু একজন মা জানেন তার গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানকে হত্যা করা কত ঘৃণার আর কষ্টকর কাজ।
আমার মা খুনীর খাতায় নাম লিখাতে চাইলেন না।সেজন্য আমার মাকে অনেক লাঞ্ছিত ,নির্যাতিত হতে হয় তার স্বামীর কাছে।তবুও মা হার মানেন নি।আমি যখন আমার মায়ের গর্ভে ৫ মাসের মত বেড়ে উঠি তখন আমার ভাইয়া একদিন পানিতে ডুবে মারা যায়।সন্তানহারা মায়ের কান্নার আর্তনাদে পুরোবাড়িতে শোকের মাতম।মা তার আদরের ছেলেকে ভুলতে সময় লেগেছে।আমার কথা ভেবে মা দুঃখ ভুলে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।
এদিকে আমার নিষ্ঠুর বাবা আমার মাকে দায়ী করতে থাকে ছেলের মৃত্যুর জন্য।মা যখন ৮ মাসের অন্তঃস্বত্বা তখন ঐ পাষণ্ড লোকটা একদিন রাতে আমার মাকে বিনা অপরাধে মারধর করে।মা আমাকে বাঁচাতে নিজের পিঠ পেতে দিয়ে রাখেন।মাকে যখন মারছিল তখন মা চিৎকার করে কাঁদছিলেন।মারার পর নেশাগ্রস্ত লোকটা ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়ে।মা ৪ দিন পিঠ উঁচু করে ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেন নি।যন্ত্রণায় কাতর ছিলেন।দেখতে দেখতে এক সময় আমি পৃথীবিতে এলাম।আমার মা আমাকে পেয়ে যেন আকাশের ঐ চাঁদ হাতে পেলেন।নিষ্ঠুর লোকটাকে মা খুশি করতে পারলেন না।কারণ ছিলাম আমি।আমি ছেলে না,আমি মেয়ে।আমার পাষাণ বাবা চেয়েছিল ছেলে।মাকে আমার জন্মের কদিন পরেই নানাবাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
নানাবাড়িতে অনেকদিন থাকি আমরা।কিন্তু পাষন্ড বাবাটা একদিনও নিতে আসল না আমাদের।মাস তিনেক পেরিয়ে গেলে আমার সৎ মামা আমাদের নিয়ে আসেন বাবার বাড়িতে।মা নতুন একটি মুখ দেখতে পায় সেই ঘরে।সুন্দর করে সেজেগুজে ছিল মুখটি,দেখে মনে হলো নববধু।মায়ের বুকের ভিতর মোচড় দিয়ে উঠল।আমার পাষাণ বাবা ঘরেই ছিল।মাকে জানালো সে নতুন বিয়ে করেছে।যৌতুক পেয়েছে অনেক কিছু।আমার মাকে বলে দেয় দাসী হয়ে সতীনের সাথে ঘর করতে।নতুবা এখন ই বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে।মা তার পায়ে ধরে বলে এগুলো কি বলছে সে।বাবা মাকে লাথি দিয়ে উঠোনে ফেলে দেয়।আমি ছিলাম মামার কোলে।মামা আমাকে মায়ের কোলে দিয়ে চলে যায়।মা তার ভাগ্যকে মেনে নিতে চেষ্টা করে।
একজন নারীর পক্ষে তার স্থানে অপর এক নারীকে মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর।তেমনি আমার মায়ের ও খুব কষ্ট হত।
আমার মায়ের সাথে বাবা যে আচরণ করত তার নতুন বৌয়ের সাথে ঠিক উল্টো আচরণ করত।টাকার লোভে আমার বাবা বিক্রি হয়ে যায়।কিন্তু বেশি নেশা করলে তখন আর তার মাথা ঠিক থাকতনা।তখন আমার মায়ের উপর তার নতুন বৌয়ের উপর রেগে যাওয়ার উশুল তুলত।আমার ভবিষ্যতের কথা ভেবে এভাবেই জীবন ধারন করতে থাকেন মা।দিন এভাবে যেতে থাকলে তার এক পর্যায়ে বাবা আমাকেও মারতে চাইত।মার জন্য পারতোনা।বাবার দ্বিতীয় বৌ আমাকে আর মাকে সহ্য করতে পারতোনা।আমার বয়স যখন ৪ বছর হয় তখন মা সিদ্ধান্ত নেন এই নরকে থাকার চেয়ে চলে যাওয়াই ভাল।তাই আমাকে নিয়ে একদিন মা নানাবাড়ি চলে আসেন।
নানাবাড়ির সবাই যখন জানতে পারে আমরা একেবারে চলে এসেছি তখন তাদের চোখ উল্টে যায়।মাকে চলে যেতে বলা হলে আমার নানা মায়ের দুঃখের কথা ভেবে মাকে যেতে বাঁধা দেয়।মাথা গোঁজার ঠাঁই দেয়া হয় আমাদের।কিন্তু কতগুলো রক্তচক্ষুর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আমাদের ক্রোধে গিলতে থাকে।
নানার ভয়ে কিছু না করতে পেরে মামা-মামী,বদ নানী এমনকি খালারাও মাকে দিয়ে দিনরাত কাজ করাতে থাকে।
একটু একটু করে আমি বড় হতে থাকি।কোন রকমে আমাদের দিন চলে যেত।এক সময় আমার নানাও মারা যান।তখন শুরু হয় আমাদের আসল দুর্দশা।আমার বয়স তখন সাত বছর।তখন প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিলাম।
মায়ের অনেক শখ ছিল আমাকে অনেক পড়াশোনা করাবেন।নানা মারা যাওয়ার পর নানাবাড়ি থেকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে আমরা চলে যেতে,তাদের অভাব অনটনের সংসারে নাকি আমরা বেশি খেয়ে ফেলি।
অপমান,লাঞ্ছনা,নির্যাতন সহ্য করে তবুও আমার থাকি সেখানে।নানা মৃত্যুর আগে মাকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন।মা সেই টাকাটা দিয়ে সেলাই মেশিন কিনেন।দিনভর অক্লান্ত পরিশ্রমের পর রাত জেগে জেগে মা কাপড় সেলাই করে আস্তে আস্তে উপার্যন করতে থাকেন।৬ মাস কেটে গেলে আমরা নানাবাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাই।সেখানে মা এক রুমের ছোটো একটি বাসা ভাড়া নেন।ঐখানে আমাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়।
কষ্টের উপার্জন দিয়ে তিলে তিলে মা আমার ভবিষ্যৎ গড়ে তুলেন।মা ও বাবা দুজনের দায়িত্ব মা একাই পালন করেন সুষ্ঠুভাবে।তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা কখনও ভাবেননি শুধু আমার কথা ভেবে।পুরুষবিহীন একাকি জীবন অনেক কষ্টকর।তবুও মা একাই থেকে যান।
লিখছেন- কাম্রুন্নাহার জুঁই
16. এক বালকের আবেগ ভরা কিছু টুকরো কথা তার মায়ের জন্য
ছোটবেলায় যখন বুঝে-না বুঝে বাজে কোনো অন্যায় করে ফেলতাম, মা এসে দুমদুম করে দুই-চার ঘা লাগিয়ে দিতেন। ব্যস ফুরিয়ে যেত। কিন্তু ভেতরটা ফালাফালা হয়ে যেত যখন মা কোনো কিছু না বলে গম্ভীর মুখে ঘুরে বেড়াতেন, দূরে দূরে থাকতেন, কাছে ঘেঁষতে চাইলেও পাত্তা দিতেন না।
বুঝতে পারতাম যে এবারের অপরাধটা মায়ের সহ্যসীমা ছাড়িয়ে গেছে, মাকে হয়তো খুব আঘাত দিয়ে ফেলেছি। মা কষ্ট পাচ্ছেন আমার জন্য এ কথা মনে এলেই বুকের ভেতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যেত। আঁচল ধরে মায়ের পেছনে পেছনে ঘুরতাম, ঘ্যান ঘ্যান করে মাফ চাইতাম...মা ও মা আর করবো না, মাফ করে দাও, সত্যি বলছি আর ভুল হবে না কোনোদিন। অভিমান অল্প হলে মা মাফ করে দিতেন, কোলে তুলে নিতেন।
আমি আবার নিশ্চিন্ত হয়ে উড়ে যেতাম খেলার সাথীদের মাঝে। অভিমান খুব কড়া হলে, মা তখনও মুখ ফিরিয়ে থাকতেন, দু’একবার ঝাঁকুনি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিতেন। আমিও নাছোড়বান্দার মতো মায়ের পিছুপিছু যেতাম রান্নাঘরে, কলতলায়, মা যেদিকে যেতেন সেদিকেই।
মনে পড়ে একদিন ছোট ভাইটাকে রাগের মাথায় মেরে পেয়ারা গাছের নিচে ফেলে দিয়েছি, মা এসে চিলের মতো ছোঁ মেরে গ্যাদাভাইটাকে কোলে তুলে নিয়ে প্রচণ্ড এক চড় বসালেন আমার গালে। ভেবেছিলাম শাস্তি হয়ে গেছে, আবার চলে যাই দুষ্টুমি করতে। কিন্তু ফিরে এসে দেখি মায়ের মুখ তখনও থমথমে, ছোট ভাইটা থেকে থেকে কেঁদে উঠছে। আমি খিদে পেয়েছে বলে মায়ের কাছে যেত চেষ্টা করি, মা মুখ ঝাঁমটা দিয়ে চলে গেলেন।
বুঝতে পারলাম এবারের অপরাধ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। পরের ঘন্টাখানেক ঘ্যান ঘ্যান করে মায়ের মাথা ধরিয়ে ফেললাম, কিন্তু মাফ পেলাম না। এক পর্যায়ে অসহ্য হয়ে মা বলে ওঠেন, ‘ কাকে মা ডাকিস তুই? তোর কোনো মা নেই। তোর মা মরে গেছে। আর কোনোদিন আমাকে মা ডাকবি না।’ আমার মা নাই, আমার মা মরে গেছে—সেই কথাটা আমার কচি বুকে একটা প্রলয় ঘটিয়ে দিল।
মনে পড়ে পেয়ারা গাছের নিচে হাত-পা ছড়িয়ে, গড়াগড়ি দিয়ে কেঁদে ছিলাম সেই দিন। কান্নার আওয়াজে পাড়া-প্রতিবেশীরা চলে আসেন, কিন্তু মায়ের অভিমান ভাঙতে ভাঙতে সেই সন্ধ্যা।
লিখেছেন-মামুন হক
17. এক বালকের আবেগ ভরা কিছু টুকরো কথা তার মায়ের জন্য
আমার অফিসের ব্যস্ততার কারণে মাকে ঠিক মত সময় দিতে পারি না। মা হয়ত বললেন আমার আজকে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া দরকার সেইসময় বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে আমি যেতে পারি না মায়ের সাথে। মায়ের অভাব গুলো বুঝতে পারি না।
মাকে বিভিন্ন সময় বুঝে না বুঝে কষ্ট দেই। সেই মাই আমার পাশে থাকেন সারাক্ষণ, আমার দু:খের দিনগুলোতে তিনিই আমার সাথী। সুখের দিনগুলোতে আমি এই আমি একেবারেই ভুলে যাই আমার মাকে। মার সেই ক্লান্তি মাখা মুখের কথা একেবারেই মনে করতে পারি না। মনে থাকে না আমার মায়ের কষ্টগুলো। মাকে যখনই ফোন করে জিজ্ঞাসা করি মা কেমন আছ? তিনি কখনও শরীর খারাপ থাকলেও বলেন না যে তিনি খারাপ আছেন।
কিছু্দিন পরেই বাংলাদেশ ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে আমাকে চলে যেতে হবে। আমার মা, আমার একান্ত কাছের মা থেকে চলে যাব অনেক দুরে। হয়ত আবার দেখা হবে দুই তিন বছর পর। এইদিন গুলো আমার মা কেমন থাকবেন?
হয়ত আমি ফোন করে কথা বললে অসুস্থ অবস্থায়ই বলবেন তিনি ভাল আছেন। আমার জন্য জায়নামাজে বসে বসে দোয়া করবেন। নিষ্ঠুর দুনিয়ায় আমার মা থেকে আমি আলাদা হব। আমার বউ হবে, বাচ্চা হবে। তাদের নিয়ে আমি দেশে দেশে ঘুরে বেড়াবো।আর আমার মা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকবেন এই বাংলাদেশে। বাংলাদেশের মাটিতে। হয়ত আমার মা আরো অসুস্থ হবেন, একদিন মারাও যাবেন।দেশের মাটিতে এসে তার কবরের পাশে দাড়িয়ে শুধু আমি কান্নাই করে যেতে পারব।
লিখেছেন #pasha_khonkar