এই পোস্টটা লিখবো বলে অনেকদিন অপেক্ষা করছিলাম। পারতপক্ষে নিজের অভ্যন্তরীন প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল। পোস্টটা কাদের জন্য? যারা ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মনে-প্রাণে মেনে নিয়েছেন আল্লাহ তা’আলার অসীম রহমতের ছোয়ায় অথচ কেমন যেন খালি খালি অনুভব করছেন। বলতে চাচ্ছি- দৈনন্দিন ‘আমল সুন্নাহ অনুযায়ি না হওয়ায় এরূপ লাগছে। এ পোস্টটি তাদেরও জন্য যাদের সুন্নাহ পালন করার নিয়াহ থাকলেও জানা হয়ে ওঠেনি রাসুলুল্লাহ ﷺ র দিনগুলো কেমন যেতো। মনের অজান্তেই একেকটা দিন পার করেন আপনি দিনশেষের আফসোস নিয়ে।
আল্লাহ বলেছেন- ‘সুতরাং তোমরা কল্যাণকর্মে প্রতিযোগিতা কর।’ (সূরা বাকারা : ১৪৮) এর মানে হচ্ছে আমাদের গতকালের দিনটির চেয়ে উন্নত হওয়া উচিত আজকের দিনটি। আর এর একমাত্র পথ হচ্ছে যার মধ্যে তিনি রেখেছেন উসওয়াতুন হাসানাহ (উত্তম আদর্শ) তাঁকে অনুসরণ করা।
এটাতো খুবই জরুরী যে দ্বীনে ফেরার পর একেক করে আমাদের উন্নতিও হওয়ার কথা- ইমানে-’আমলে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখি কি তা হচ্ছে কিনা আদৌ? যদি না করি তবে এক ভয়াবহ সতর্কবানী অপেক্ষা করছে। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে না পারার কিছু কারণ হলো- প্রোডাক্টিভ না হওয়া- আলসেমি, সুন্নাহ পালনে ঢিল দেওয়া, ফরজসমূহের অবহেলা করা, বিদ'আতকে হালকা মনে করা আর বেশি হাসি তামাশায় লিপ্ত থাকা। যেখানে আমাদের পূর্ববর্তীগণ একেকটা গুনাহকে মনে করতেন মাথায় ঝেঁকে বসা পাহাড়ের ন্যায় সেখানে আমরা একে নাকের ডগায় বসা মাছির মতো মনে করছি। আমাদের এ মনোভাবের কারণ একটাই। রাসুলুল্লাহ ﷺ এর প্রকৃত অনুসরণ না করা। সুন্নাহ অনুযায়ী নিজের জীবনকে ঢেলে না সাজানো। দ্বীনে আসার পর সিরিয়াস না থাকা। অথচ আল্লাহ ইসলামে পূর্ণভাবে প্রবেশের কথা বলে দিয়েছেন আর নিষেধ করে দিয়েছেন শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ থেকে। এ কারণেই আল্লাহর ভালোবাসা দূরেই থেকে যাচ্ছে। আল্লাহর প্রিয় বান্দা কি আমরা হতে চাই না? আল্লাহ কী বলেছেন?
- “(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা প্রকৃতই আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর, তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়ালু।” ( ইমরান : ৩১)
- “আল্লাহর ও রাসূলের আনুগত্য কর, যেন তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।” আলে-ইমরান, ৩/১৩২
- “আর সালাত কায়েম কর ও যাকাত প্রদান কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, যেন তোমরা রহমতপ্রাপ্ত হও।” আন-নুর, ২৪/৫৬
আরেকটা কথা। ‘আমলের ক্ষেত্রে নিয়মিত হওয়া চাই। রাসূ্ল ﷺ কে জিজ্ঞাসা করা হলো কোন আমল আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তিনি বললেন, "যা নিয়মিত করা হয়, যদিও তা অল্প হয়।" (ফাতহুল বারি, ১১/১৯৪) শুধুই কি তাই? রাসুলুল্লাহ ﷺ ছিলেন দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ সফল ব্যক্তিত্ব। সুতরাং আমরা বুঝতে পাচ্ছি আমাদের দৈনন্দিনকার ‘আমল সুন্নাহ অনুযায়ী হতে হবে এবং তা নিয়মিত। ইসলামে পূর্ণভাবে প্রবেশের যে তাকীদ আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন তার উপায়টাও এখানেই নিহিত। এ পোস্টে আমরা শুধু এগুলোর লিস্টই দেবো না, কীভাবে তা অভ্যাসে পরিণত করবেন সে টিপসও দেওয়ার চেষ্টা করবো। কেবল কলেবর ছোট রাখতে রেফারেন্সগুলো দিতে গিয়েও উহ্য রাখতে হয়েছে। চলুন তবে শুরু করা যাক বিইযনিল্লাহ:
ফজর থেকে সুর্যোদয়
চোখ বন্ধ করে একবার রাসুলুল্লাহর ঘরের ﷺ কথা কল্পনা করুন তো! তিনি ﷺ দীর্ঘরাত্রির ‘ইবাদাত শেষে হালকা ঘুমে এমন সময় বিলাল رضي الله عنه র আযান তাঁর ঘুম ভাঙালো। এরপর তিনি যা যা করতেন তা হলো:
- ঘুম থেকে জাগার দু’আ পড়া
- সিওয়াক- মিসওয়াক করা ও আযান শুনে শুনে জবাব দেওয়া
- ওযু করা এবং ফজরের দু’রাকাত সুন্নাত সালাত ঘরে আদায় করা এবং ইকামাতের আগ পর্যন্ত ডান দিকে কাঁত হয়ে বিশ্রাম নেওয়া
- ঘর থেকে বের হওয়া ও আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার দু’আ পড়া।
- মসজিদে ডান পায়ে ঢোকা এবং বিসমিল্লাহ, দরূদ পড়ে প্রবেশের দু’আ পড়া
- ফরজ নামাজ শেষ করে এর আযকার পাঠ করা
- সাহাবাদের খোঁজ-খবর নেওয়া এবং সুর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত মসজিদে বসে থাকা
সুর্যোদয়ের পর
- বাড়ি ফিরে আসা এবং ঘরে প্রবেশের দু’আ পড়া (বা বিসমিল্লাহ পড়ে সালাম দিয়ে ঢোকা)
- পরিবারের সবার খোঁজ-খবর নেওয়া
- ঘরে কোনো খাবার থাকলে খাওয়া। না থাকলে নফল রোজা রেখে দেওয়া (নফল রোজার নিয়ত সুর্যোদয়ের পরেও করতে পারবেন আপনি যদি ফজরের পুর্ব থেকে কিছু না খান তখন পর্যন্ত)
সুর্যোদয় থেকে যুহর
- এ সময়টা হলো পরিশ্রম করার সময়। জীবিকা নির্বাহের সময়। সাদাকা করার সময়। রাসুলুল্লাহ ﷺ এ সময় যা করতেন তা হলো- পরিবারকে সাহায্য করা, তাদের যত্ন নেওয়া, নিজের জুতো-পোশাক মেরামত করা, ছাগল-ভেড়ার দুধ দোয়ানো, এবং নিজেকে ও পরিবারকে কোয়ালিটি সময় দেওয়া। আমাদের কাজের জন্য এ সময়টাকে বেঁছে নেওয়া দরকার। কেননা, উম্মাতের সকালের কাজে বারাকাহর জন্য রাসুলুল্লাহ দু’আ করেছেন
- যুহরের পূর্বে সালাতুত দোহা নামে একটা নফল নামাজ রয়েছে। ২, ৪, ৬ বা ৮ রাকাত যেমন পারা যায় তা আদায় করা
- যুহরের আযানের আগে ক্বায়লুলা করা (হালকা ঘুম)
যুহর থেকে আসর
- যুহরের আযান হয়ে গেলে ওযু করে ঘরে ৪ রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করা। আপনি স্কুল বা অফিসে থাকলে তা ব্যক্তিগত রুমে আদায় করতে পারেন
- যুহরের ফরজ সালাত জামা’আতের সাথে মসজিদে আদায় করা
- যুহরের পর দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ ঘরে আদায় করা
- রাসুলুল্লাহ ﷺ এ সময় মিম্বারে উঠে সাহাবাদের কাছে বক্তৃতা করতেন। আমাদের মসজিদগুলোতে তা না হয়ে থাকলে, আপনি কিছু ইসলামিক বই পড়তে পারেন এ সময় বা শুনতে পারেন ইসলামিক লেকচার
আসর থেকে মাগরিব
- আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের পূর্বে রাসুলুল্লাহ ﷺ চার রাকাত নামাজ পড়তে উৎসাহিত করতেন যদিও তা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা (আবশ্যিক সুন্নাত) না
- ফরজ মসজিদে জামা’আতে আদায় করা। রাসুলুল্লাহ আসরের ফরজ নামাজ দীর্ঘায়িত করতেন না কেননা, এ সময় ব্যক্তিগত কাজ-কর্ম অনেকের থাকতো
- আসরের নামাজে দেরি না করা
- পরিবারে দ্বীনি হালাকা করা এবং পরিবারকে সময় দেওয়া
মাগরিব থেকে ঈশা
- আযানের সাথে সাথে মসজিদে যাওয়া এবং চাইলে ২ রাকাত নফল পড়া ফরজের পুর্বে
- রাসুলুল্লাহ মাগরিবের ফরজ সালাত পড়াতেন করতেন ছোট ছোট সূরা দিয়ে
- ঘরে ফিরে মাগরিবের দু’রাকাত সুন্নাত আদায় করা
- এ সময় রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করা। (রাসুলুল্লাহ এ সময় কোনো কোনো সাহাবীকে দাও’আত দিতেন রাতের খাবারে। মাঝে মাঝে তাঁর ঘরের চুলায় আগুনই জ্বলতো না। সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম।)
- খাবারের আদাব মানা- দস্তরখান বিছিয়ে খাবার খাওয়া। রাসুলুল্লাহ কখনোই টেবিলে খাবার খেতেন না। “বিসমিল্লাহ” বলে ডান হাতে খাবার শুরু করা এবং তিন আঙ্গুলে খাওয়া। খাবারের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ না করা। রাসুলুল্লাহ ﷺ হয় এ খাবার খেতেন নইলে তা খেতেন না অপছন্দ হলে। কিন্তু দোষ ধরতে তিনি নিষেধ করে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি খাবার গ্রহণের সময় অন্য সবার খোঁজ-খবর নিতেন। বিভিন্ন ব্যাপারে আদাব শিক্ষা দিতেন। পেটকে তিনভাগ করে একভাগ পানি দ্বারা, একভাগ খাবার দ্বারা পূর্ণ করা ও একভাগ খালি রাখা। প্লেট সম্পূর্ণ চেটে-পুটে খাওয়া। আর খাবারের শেষে “আলহামদুলিল্লাহ” বলা
ঈশা থেকে মাঝরাত
- ঈশার আগ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ ﷺ ঘরে থাকতেন এবং ঈশার সালাত খুব ত্বরা করে আদায় করতেন না। যদি সাহাবারা আগে আসতো তিনি তাদের নিয়ে আগে তা আদায় করতেন। যদি তারা দেরি করতো তবে তিনি দেরি করতেন।
- মসজিদে জামা’আতে ঈশার নামাজ আদায় করা
- রাসুলুল্লাহ ﷺ ঈশার পর খুব কমই কথা বলতেন। কেননা, এ সময়টা ঘুমের সময়
- ঘরে এসে ২ রাকাত সুন্নাহের সালাত আদায় করা
- এ সময় পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে কোয়ালিটি সময় দেওয়া
- ঘুমানোর আগে স্বামী/স্ত্রীর সাথে কোয়ালিটি সময় অতিবাহিত করা
- ঘুমাতে যাওয়ার আদব মানা- ঘুমানোর আগে বিছানা তিনবার ঝাড়ু দেওয়া। ওযু করে ঘুমাতে যাওয়া ও ডান কাঁত হয়ে ঘুমানো এবং ঘুমানোর আগের আযকার পড়া। কী পড়বেন? আয়াতুল কুরসী, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা কাফিরুন এবং কুর’আনের শেষ তিন সূরাহ (ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস) পড়ে সারা শরীরে ফুক ৩ বার, সূরা সাজদা, সূরা মুলক, ৩৩ বার সুবহানআল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ ও ৩৪ বার আল্লাহু আকবার ইত্যাদি। এরপর ঘুমানোর দু’আ
মাঝরাত থেকে ফজর
মাঝরাতে রাসুলুল্লাহ ﷺ ঘুম থেকে উঠতেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল মুবারাকে হাত দিয়ে ঘুমের ঘোর কাটাতেন। এরপর তিনি তাঁর সিওয়াক নিয়ে মিসওয়াক করতেন। এরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ চিন্তাভাবনা করতেন আর সূরা আল-ইমরানের শেষ ১০ আয়াত তিলাওয়াত করতেন। এরপর বিছানা ছেড়ে তিনি ওযু করে কাপড় গায়ে দিয়ে রাতের নামাজে (তাহাজ্জুদ) দাঁড়াতেন কখনো ঘরে আবার কখনো বা মসজিদে।
- মাঝেমাঝে রাতের নামাজ শুরু করার আগে তিনি আল্লাহর যিকির আযকার করে নিতেন যাতে করে দৃঢ় মনোযোগ আসে নামাজের সময়
- প্রথম ২ রাকাত তিনি ছোট সূরা দিয়ে শুরু করতেন। পরের রাকাতগুলো ছিল বড় বড় সূরার
- রাসুলুল্লাহ ﷺ যখন রাতের নামাজ আদায় করতেন তখন অন্য কেউ দেখলে মনে হত তিনি অন্য এক ভূবনে চলে যেতেন। তিনি যেন ডুবে যেতেন আল্লাহর স্মরণে। এ নামাজ খুব শান্ত ও ধীরভাবে তিনি আদায় করতেন। তিনি তাঁর সম্পূর্ন আবেগ-অনুভূতি ঢেলে এ নামাজে স্থির হতেন। শতশত আয়াত তিলাওয়াত করে যেতেন তিনি ক্লান্তিহীন। অথচ তাঁর কোনো গুনাহ ছিলো না। শুধু রবের শুকরিয়া তিনি আদায় করতেন। আর আমরা?
- কোনো সাহাবী যদি তাঁর সাথে নামাজে দাঁড়াতেন তবে ক্লান্ত হয়ে যেতেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ র শুধু কিরাত না, রুকু ও সিজদাহও অনেক দীর্ঘ ছিল এ নামাজে
- আমরা আমাদের রাতগুলো এভাবে কাটাতে পারলে আর সে নামাজে আল্লাহর কাছে চাইলে তবে আর কষ্ট-দুশ্চিন্তায় পরতে হতো না
রাতের ১/৬ ভাগ (সুবহে কাযিব) বাকী থাকার আগ পর্যন্ত তিনি নামাজ আদায়, দু’আ, তিলাওয়াত, রুকু ও সিজদাহ করে যেতেন। এরপর সময় হতো বিতর নামাজের। এরপর তিনি আ’ঈশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জাগিয়ে নিতেন এবং দু’জন মিলে তিন রাকাত বিতর নামাজ আদায় করতেন। রাতের ১/৬ ভাগ (সুবহে কাযিব) হওয়ার সময় এলে তিনি বিশ্রাম নিতেন ফজর হওয়ার আগ (সুবহে সাদিক) পর্যন্ত
এছাড়াও
এ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ ﷺ র দৈনন্দিন জীবনের আলোকে একটা ছবি তুলে ধরা হয়েছে আমরা যেনো পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ করতে পারি। এছাড়াও সুন্নাহ অনুযায়ী দৈনন্দিন যে বিষয়গুলো আমাদের লিস্টে খেয়াল রাখতে হবে তাহলো-
- প্রতিদিনকার বিভিন্ন আযকার (যেমন, সকাল-বিকালের আযকার, ইস্তেঞ্জা সংক্রান্ত দু’আ, বাজারে যাওয়ার দু’আ, নতুন কাপড় পড়ার দু’আ, যানবাহনে আরোহণ করার দু’আ, মসজিদে যাবার সময়ের দু’আ, ওযুর আগে ও পরের দু’আ, প্রতিটি নামাজের পর সুন্নাত দু’আ ও আযকার, মুসাফাহার-মুয়ানাকার দু’আ, পারস্পরিক সালাম বিনিময় প্রভৃতি) আদায় করা
- মু’আমালাত ও মু’আশারাতের ব্যাপারে হালাল-হারাম মেনে চলা
- সাদাকা করা। অনেক সময় হাসিও সাদাকার কাজ করে
- যথাসম্ভব বেশি করে মিসওয়াক করা- বিশেষ করে প্রতি সালাতের আগে অযুর সময়
- রোগী দেখতে যাওয়া
- মুসলিম ভাইয়ের কষ্ট লাঘব করা
- সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা
- প্রতিদিন কুর’আনের বিভিন্ন সূরা অর্থ বুঝে তিলাওয়াত ও মুখস্ত রাখা
- প্রত্যেক হিজরী মাসের ১৩,১৪,১৫ আইয়্যামে বীজের রোজা রাখা
- প্রোডাক্টিভ থাকতে, পাপ থেকে বাঁচতে এবং বৃহত্তর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কিছু শারীরিক ব্যায়াম করা
- সব ধরনের পাপ পরিহার করা ইত্যাদি
Collected from a facebook page.