হাম
হাম
হাম রোগটি সারা বছরই অল্পস্বল্প হয়ে থাকে। তবে এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায় সাধারণত জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস বা বসন্তকালে। শিশুদের ক্ষেত্রে ছয় বছর বয়সের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই রোগটি সংক্রমণ জাতীয় রোগ।
রোগের উপসর্গ সমূহ :
১) জ্বর হয় ও সর্দির মতো নাক দিয়ে জল ঝড়ে।
২) কাশি ও চোখ লাল হয় ।
৩) ক্ষুধামান্দ্য ও সারা শরীরে ব্যথা হয়।
৪) দু-একদিনের মধ্যে লাল লাল ছোটো ছোটো দানা সারা শরীরের চামড়ায় দেখা যায়।
৫) দু-একদিনের মধ্যে মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে ও শরীরের সর্বত্র লাল লাল ছোপ ছড়িয়ে পরে। মুখের ভিতর ও ঠোঁট বেশ লাল দেখায়।
৬) মাথা, গা, হাত ও পায়ে ব্যথা এবং সঙ্গে পাতলা পায়খানা থাকে।
৭) জ্বরের ঠিক চার দিনের দিন গায়ে র্যাশ বা যাকে আমরা হাম বেরোনো বলি তা শরীরে দেখা যায় ।
৮) এই রোগটি শিশুদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে, যেমন বুকে কফ জমে বিপদ ঘটাতে পারে।
চিকিৎসা :
১) প্রচুর পরিমাণে জল খেতে দিতে হবে।
২) রোগীকে অন্য ঘরে পৃথকীকরণ করে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
৩) আলো সহ্য করতে পারে না তাই ঘর অন্ধকার করে রাখলে আরাম অনুভূত হয় ।
৪) খুব বেশি জ্বর হলে জ্বর কমাবার ব্যবস্থা করতে হবে।
৫) স্কুলে রোগীকে যেতে দেওয়া বন্ধ করতে হবে। অন্য কোন ব্যক্তির সঙ্গে এ সময় মিশতে দেওয়াও তার পক্ষে বিপজ্জনক। ৭) এই সময় রোগীর পুষ্টির অভাব হয় তাই রোগীকে পুষ্টিকর খাবার, মাছ, নরম মুরগি, মাংস, ডিম, আলু সেদ্ধ খেতে দেওয়া উচিত। এতে, যেমন শরীর দুর্বল হয় না তেমনি রোগ-পরবর্তী সময়ে অপুষ্টির আক্রমণেরও কোন ভয় থাকে না।
৮) ৯ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে হামের টিকা নিলে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।