ডায়ারিয়া
ডায়ারিয়া এই শব্দের অর্থ হলো প্রবাহিত হওয়া। তিনবারের থেকে বেশিবার পাতলা মলত্যাগ হলেই সাবধান হওয়া দরকার। শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যায়। শরীরের পাচক রস নষ্ট হয়ে যায়। মল দিয়ে রক্ত পড়ে। শরীরের জলসাম্য, অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য এমনকি লবণের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যায়। দূষিত জল খাওয়া, অরক্ষিত খাবার থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। এই রোগের জন্য দায়ী হলো একধরনের রোটাভাইরাস। বাড়িতে ওআরএস বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ালে এই রোগকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে রোগের উপসর্গ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়া খুবই জরুরি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে 2011 সালে গোটা বিশ্বে প্রায় 1 লক্ষ 60 হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডায়ারিয়াতে। তার মধ্যে বেশিরভাগই পাঁচ বছর বয়সের শিশু।
ডায়ারিয়া
বারেবারে পাতলা পায়খানা, শরীরে জলাভাব, চোখ বসে যাওয়াকেই ডায়ারিয়া বলে। সাধারণ আমাশয়, রক্ত আমাশয়, ভাইরাল ডায়ারিয়া সবই ডায়ারিয়া রোগের মধ্যে পড়ে। শুধু রোগের কারণ যে জীবাণু সেটি আলাদা ৷ দেহকোশে জলের পরিমাণ কমে যাওয়ার জন্য ডায়ারিয়া দেখা দেয়।
রোগের চিকিৎসা :
জলের অভাবপূরণ করাই এর মূল চিকিৎসা।
১) রোগীকে প্রথমেই পানীয় ঠান্ডা জলে ‘ORS’মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
২) প্রতিবার যাব ঘরে, খাব এক গ্লাস করে। পিপাসা অনুযায়ী পান করবে।
৩) যিনি খাবার তৈরি করবেন তিনি সর্বদা অবশ্যই সাবান দিয়ে যেন হাত ধুয়ে নেন।
৪) ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি।
৫) ঘরে ORS খাইয়ে ডায়ারিয়া উপশম না হলে রোগীকে অবশ্যই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাতে হবে এবং ORS/স্যালাইন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিতে হবে।
৫) সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান মেনে চললে ডায়ারিয়া থেকে মুক্ত থাকা যায়।