রাসূল (সা.) এর কয়েকটি মুজিযা সম্পর্কে আলোচনা কর ।

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান >   আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) >   আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম)  

Short Question

121


Answer:

উত্তর : পার্থিব রাজা-বাদশাহগণ যখন কাউকে কোন প্রদেশের শাসক বা গভর্ণর নিযুক্ত করে পাঠান, তখন তার সাথে এমন কতিপয় নিদর্শনাবলী বা প্রমাণ পত্র পাঠান যা দেখে জনগণ তাঁর গভর্ণর বা শাসক হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে। যেমন চাকর-বাকর, সৈন্য সামন্ত এবং এমন কিছু ক্ষমতা থাকে, যা সাধারণ জনগণের পক্ষে প্রয়োগ করা অসম্ভব। ঠিক তেমনিভাবে মহান আল্লাহ যখন দুনিয়ার বুকে কোন রাসূল প্রেরণ করেন তখন তাঁদের সঙ্গে সততা, বিশ্বস্ততা, চরিত্র মাধুর্যতা, এবং অন্যান্য সকল মানবিক গুণাবলী ছাড়াও এমন কিছু অলৌকিক শক্তি দান করেন, যদ্বারা শত্রুদের মাথানত হয়ে যায়। এ সকল অলৌকিক, শক্তি ও প্রকৃতির উর্ধ্বের ক্ষমতাকে মুজিযা বলে ।

আমাদের রাসূলে করীম (সা.) এর মুজিযা সংখ্যা ও গুণগত মানের দিক দিয়ে পূর্বের সকল নবী রাসূলগণের চেয়ে অধিক ও শ্রেষ্ঠতর। পূর্বের নবী রাসূলগণের মুজিযা তাঁদের স্বত্বা পর্যন্ত সীমিত ছিলো। আর মহানবী (সা.) এর মুজিযা আল-কুরআন অদ্যাবধি সকল মুসলমানের হাতে হাতে। যার মুকাবিলায় বিশ্বের সকল শক্তি এবং জিন-ইনসান সবাই ব্যর্থ ।

এ ছাড়া চাঁদ দ্বি-খন্ডিত করা, আঙ্গুল মুবারক হতে পানি প্রবাহিত হওয়া, পাথর কণার তাসবীহ পাঠ করা, খেজুর গাছের ক্রন্দন, তাঁকে লক্ষ্য করে গাছের সালাম প্রদান, গাছ কে ডাকা এবং রাসূল (সা.) এর ডাকে গাছের আগমন, অজস্র ভবিষ্যত বাণী সূর্যের ন্যয় স্পষ্টাকারে প্রতি ফলিত হওয়া ইত্যাদি হাজারো মুজিযা রয়েছে। সেসব শুধু কুরআনের আয়াত ও সহীহ হাদীসেই নয় বরং বহু কাফির থেকেও সে সবের স্বীকারোক্তিও প্রমাণিত রয়েছে। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উলামায়ে কিরাম সেগুলোকে বিভিন্ন কিতাবাদিতে সুন্নিবেশিত করেছেন। আল্লামা সুয়ূতী রচিত খাসায়েসে কুবরা' ও পরবর্তী আলিমগণের মধ্য হতে লিখিত- “ আল কালামুল মুবীন” এ বিষয়ের ওপরই লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। অত্র সংক্ষিপ্ত কিতাবে এর বিস্তারিত বর্ণনা সম্ভব নয়। বিধায় এ ব্যাপারে এতটুকুর উপর সমাপ্ত করছি।




Join Our telegram group to ask Questions

Click below button to join our groups.