ফেরেশতাদের বৈশিষ্ট্য

প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান >   ঈমান ও আক্বীদা >   ফেরেশতা  

Short Question

106


Answer:

ফেরেশতাদের বৈশিষ্ট্য

তাদের ডানা রয়েছে
আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা; যিনি দুই দুই, তিন তিন ও চার চার ডানাবিশিষ্ট ফেরেশতাদেরকে বার্তাবাহক করেছেন। তিনি তাঁর সৃষ্টির মধ্যে যা চান বৃদ্ধি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।”[সূরা ফাতির, আয়াত: ১]

ফেরেশতাদের সৌন্দর্য
আল্লাহ্‌ তাআলা জিব্রাইল আলাইহিস সালামের সৌন্দর্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন:

عَلَّمَهُ شَدِيدُ ٱلْقُوَىٰ ذُو مِرَّةٍ فَٱسْتَوَىٰ

“তাকে (এটা) শিক্ষা দিয়েছেন প্রবল শক্তিমান, সৌন্দর্যপূর্ণ সত্তা (জিব্রাইল)। অতঃপর তিনি স্থির হয়েছিলেন।”[সূরা আন-নাজ্‌ম, আয়াত: ৫-৬]

ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: ذُو مِرَّةٍ: ذُوْ مَنظَرٍ حَسَنٍ (সুন্দর আকৃতির)। কাতাদা বলেন: লম্বা ও সুন্দর আকৃতির।

সমস্ত মানুষের কাছে এটি বিধিবদ্ধ যে, ফেরেশতারা সুন্দর। তাই তারা সুশ্রী মানুষকে ফেরেশতাদের সাথে উপমা দেয়। যেমনটি সত্যবাদী ইউসুফ আলাইহিস সালামের ব্যাপারে নারীরা বলেছিল: فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَكْبَرْنَهُ وَقَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا هَذَا بَشَرًا إِنْ هَذَا إِلَّا مَلَكٌ كَرِيمٌ (অতঃপর তারা যখন তাকে দেখল তখন তারা তার সৌন্দর্যে অভিভূত হল ও নিজেদের হাত কেটে ফেলল এবং তারা বলল, ‘অদ্ভুত আল্লাহ্‌র মাহাত্ম্য! এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশ্‌তা)।[সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৩১]

ফেরেশতাদের আকৃতিগত ও মর্যাদাগত তারতম্য:

গঠন ও আকারে ফেরেশতারা সকলে একই পর্যায়ের নয়। বরঞ্চ তারা আকৃতির দিক থেকে বিভিন্ন; যেমনিভাবে মর্যাদার দিক থেকেও বিভিন্ন। তাদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো যারা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন যেমনটি মুআয বিন রিফাআ বিন রাফে’ (রাঃ)-এর হাদিসে এসেছে; যে হাদিসটি তিনি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেছেন যে, যিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের একজন। তিনি বলেন: “জিব্রাইল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে বললেন: আপনাদের মধ্যে যারা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে তাদেরকে আপনারা কী হিসেবে গণ্য করেন? তিনি বললেন: সর্বোত্তম মুসলিম কিংবা অনুরূপ কোন বাক্য। তখন জিব্রাইল বললেন: অনুরূপভাবে ফেরেশতাদের মধ্যে যারা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছে তারাও”।[সহিহ বুখারী (৩৯৯২)]

ফেরেশতারা আহার ও পান করে না:
এটি প্রমাণ করে রহমানের খলিল ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম ও তার মেহমান ফেরেশতাদের মধ্যে যে সংলাপ হয়েছিল সেটি। আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন: “তারপর ইব্রাহিম তার পরিবারের কাছে গেল এবং একটি (রান্নাকরা) মাংসল বাছুর নিয়ে এল। তারপর সেটি মেহমানদের সামনে পেশ করল, আর বলল: আপনারা খাবেন না? অতঃপর (মেহমানরা খাচ্ছে না দেখে) সে তাদের সম্পর্কে ভয় অনুভব করল। তারা বলল: ভয় করবেন না। এরপর তারা তাকে এক বিজ্ঞ পুত্রসন্তানের সুসংবাদ দিল।”[সূরা যারিয়াত, আয়াত: ২৮]

অন্য আয়াতে এসেছে: “কিন্তু যখন সে দেখল, তাদের হাত সেদিকে যাচ্ছে না, তখন তাদেরকে খারাপ (উদ্দেশ্যে আগমনকারী) মনে করল এবং তাদের সম্পর্কে তার মনে ভীতির সঞ্চার হল। (এটা বুঝতে পেরে) তারা বলল, ‘ভয় পাবেন না; আমাদেরকে লূতের সম্প্রদায়ের কাছে (তাদেরকে শাস্তি দেয়ার জন্য) পাঠানো হয়েছে”।[সূরা হুদ, আয়াত: ৭০]

তিনি আরও বলেন: “রাতদিন তারা তাসবিহ পড়ে; বিরতি দেয় না”।[সূরা আম্বিয়া, আয়াত: ২০]

তিনি আরও বলেন: “তাহলে (জেনে রাখুন) যারা আপনার প্রভুর সান্নিধ্যে রয়েছে তারা (অর্থাৎ ফেরেশতারা) রাতদিন তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছে এবং তারা (কখনও) ক্লান্ত হয় না।”[সূরা ফুস্‌সিলাত, আয়াত: ৩৮]




Join Our telegram group to ask Questions

Click below button to join our groups.