নবী করীম (সা.) এর চরিত্র মাধুরীর কয়েকটি দিক আলোচনা কর ।
প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান > আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম) > আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়া সাল্লাম)
114
Answer:
উত্তর : চরিত্র মাধুরী : নবী করীম (সা.) সর্বাধিক সাহসী ও বীরত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন সর্বাধিক দানশীল। তাঁর নিকট কোন সময়ে কোন কিছু চাইলে তখনই তা দিয়ে দিতেন। অতিশয় ধৈর্য ও সহনশীল ছিলেন। একবার সাহাবায়ে কিরাম (রা.) এক কাফির গোত্রের ব্যাপারে মাহনবী (সা.) এর নিকট আরয করলেন- ইয়া রাসূলুল্লাহ। এদের জন্য বদদুআ করুন। রাসূলে করীম (সা.) ইরশাদ করলেন- আমি করুণা স্বরূপ প্রেরিত হয়েছি, অভিশাপ রূপে নয়।" যখন তার দান্দান মুবারক শহীদ হয় তখনও তিনি তাদের জন্যে মাগফিরাত কামনা করছিলেন।
আল্লাহর নবী (সা.) অত্যন্ত লজ্জাশীল ছিলেন। কারো চেহারার উপর তাঁর দৃষ্টি স্থির থাকতো না। ব্যক্তিগত ব্যাপারে কারো থেকে কোন প্রতিশোধ গ্রহণ করতেন না এবং রাগও করতেন না। তবে আল্লাহর বিধানের উপর হস্থক্ষেপ করলে রাগান্বিত হতেন। রাগান্বিত হলে কেউ তাঁর সামনে দাঁড়ানোর সাহস পেতো না। (শরী'আতের) দুটি কাজের কোন একটি গ্রহণের ব্যাপারে তাঁকে অধিকার দিলে তিনি সহজটিকেই গ্রহণ করতেন। (যাতে উম্মতের জন্যে তা পালন করা সহজসাধ্য হয়।) রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনো খাদ্যের দোষ অন্বেষণ করতেন না। পছন্দ হলে ভক্ষণ করতেন অন্যথায় বর্জন করতেন। তিনি হেলান দিয়ে বা চেয়ার-টেবিলে বসেও আহার করতেন না । তাঁর জন্যে পাতলা চাপাতি রুটি তৈরী করা হতো না। খেজুরের সাথে শসা ও তরমুজ মিলিয়ে খেতেন। স্বভাবত মধু ও মিষ্টি দ্রব্য পছন্দ করতেন।
হযরত আবু হুরাইরা (রা.) বর্ণনা করেন- হযরত রাসূলে করীম (সা.) এবং তাঁর পরিবারবর্গ এ অবস্থায় দুনিয়া হতে বিদায় নিয়েছেন যে, যবের রুটিও কখনো পেট ভরে আহার করেননি। রাসূলে করীম (সা.) এর পরিবারে কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো যে, দু'দুমাস যাবত তাঁর চুলায় আগুন জ্বলতো না। শুধু শুকনো খেজুর ও পানি দ্বারা জীবন ধারণ করতেন ।
হুযূর (সা.) নিজেই নিজ জুতা মুবারক সেলাই করতেন। কাপড়ে · তালি লাগাতেন। গৃহস্থলি কাজে অংশ গ্রহণ করতেন। রোগীদের সেবা-শুশ্রূষা করতেন। তাঁকে কেউ দাওয়াত দিলে সে ধনী হোক বা গরীব তার গৃহে গমন করতেন। কোন দরিদ্রকে তাঁর দারিদ্রতার কারণে অবজ্ঞা করতেন না । আবার কোন প্রতাপশালী রাজা-মহারাজার প্রতিও তাঁর অর্থ ও রাজত্বের কারণে প্রভাবান্বিত হতেন না।
স্বীয় সওয়ারীর পিছনে গোলাম-ভৃত্যকে আরোহণ করাতেন। মোটা কাপড় পরিধান করতেন। সেলাই কৃত জুতা পরিধান করতেন। সাদা পোশাক তাঁর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় ছিলো।
রাসূলে করীম (সা.) অধিক পরিমাণে আল্লাহর যিকির করতেন। অপ্রয়োজনীয় কথা হতে বিরত থাকতেন। নামায দীর্ঘ ও খুতবা সংক্ষিপ্ত করতেন। সুঘ্রাণ পছন্দ ও দুর্গন্ধ অপছন্দ করতেন।
জ্ঞানী-গুণীজনদের সমাদর করতেন। বৈধ খেলাধুলা দেখতেও নিষেধ করতেন। কখনো কখনো হাসি-মজাক ও বিনোদন মূলক কথা বলতেন । তবে কখনো বাস্তবতার বাইরে কথা বলতেন না।
সমস্ত মানব জাতির মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বাধিক প্রফুল্ল মেজাযী ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী। কেউ অপারগতা পেশ করলে তা কবুল করতেন। হযরত আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন- পবিত্র কুরআনই ছিল। আল্লাহর রাসূলের চরিত্র। অর্থাৎ, কুরআন মজীদ যেটাকে পছন্দ করতো আল্লাহর নবীও সেটাকে পছন্দ করতেন এবং কুরআন মজীদ যেটাকে অপছন্দ করত আল্লাহর নবীও সেটাকে অপছন্দ করতেন। হযরত আনাস (রা.) বলেন- আল্লাহর রাসূলের শরীরের সু-ঘ্রাণের ন্যায় আমি আর উত্তম কোন সু-ঘ্রাণ গ্রহণ করিনি।
This Particular section is dedicated to Question & Answer only. If you want learn more about প্রশ্নোত্তরে ইসলামী জ্ঞান. Then you can visit below links to get more depth on this subject.
Join Our telegram group to ask Questions
Click below button to join our groups.