Answer:
উত্তরঃ ২য় হিজরীতে।
ইসলামী আকীদা-বিশ্বাস যখন মুসলমানদের অন্তর মানসে খুব দৃঢ়ভাবে গেঁথে গেল, যখন সালাতের জন্য তাঁদের পূর্ণ মানসিকতা সৃষ্টি হল আর তা বৃদ্ধি পেতে পেতে ইশক বা ভালবাসার পর্যায়ে গিয়ে উপনীত হল এবং তাঁদের মধ্যে শরীয়তের হুকুম-আহকাম ও আল্লাহ্র নির্দেশ পালন করার এমন এক মন ও মেযাজ সৃষ্টি হয়ে গেল যে, মনে হচ্ছিল তারা যেন ঐ সব হুকুম-আহকামের অপেক্ষায় আছেন তখন আল্লাহ তা'আলা সিয়ামের হুকুম নাযিল করলেন।
এটি ছিল হিজরতের দ্বিতীয় বর্ষের ঘটনা। এ সময় এই আয়াত নাযিল হয় :
“হে মু'মিনগণ! তোমাদের ওপর সিয়াম (রোযা) ফরয করা হয়েছে যেরূপ ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার" (সূরা বাকারা, ১৮৩ আয়াত)।
দ্বিতীয় এই আয়াত নাযিল হয় :
“রমযান মাসই হল সেই মাস যাতে নাযিল করা হয়েছে কুরআন যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সত্য পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায়-অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এই মাস পাবে সে এ মাসের সিয়াম পালন করবে” (সূরা বাকারা, ১৮৫ আয়াত)।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 231]
নামাজ কত হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে?
নামায কবে থেকে ফরজ হয়?
সালাত কবে থেকে ফরজ হয়?
কত হিজরীতে সালাত ফরজ হয়?
কত হজরীতে নামাজ ফরজ হয়?