Answer:
উত্তরঃ জিবরাঈল, ইসরাফীল, মীকাঈল ও মালাকুল মওত (আঃ)।
কোরআন হাদীসের আলোকে বোঝা যায় চার জন সবচেয়ে বড় ফেরেশতা আছেন। যাদের নাম ভিন্ন এবং কাজও ভিন্ন। তাহারা আল্লাহর হুকুম পালনে বদ্ধপরিকর। কোন ফেরেশতা মানুষের কল্যাণ-অকল্যাণ করতে পারে না। আল্লাহ্ ছাড়া কেউ কারো কোন কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক নয়। ফেরেশতা, জিন, মানুষ, নবী, ওলী কেউ না।
ফেরেশতাগন মানুষের ন্যায় আল্লাহর আরেক সৃষ্টি। তারা দিনরাত ক্লান্ত না হয়ে আল্লাহ্-র পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করেন এবং আল্লাহর অবাধ্য হবার কোনো ক্ষমতা তাদের নেই। ফেরেশতারা নূর তথা আলোর তৈরি। তারা খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করেন না। তারা পবিত্র স্থানে অবস্থান করেন। তারা যেকোনো স্থানে গমনাগমন ও আকৃতি পরিবর্তনের ক্ষমতা রাখেন।
চার ফেরেশতা গনের নাম সমূহ ।
- 【1】হযরত জিবরাঈল ( আঃ )
- 【2】হযরত ইসরাফিল ( আঃ )
- 【3】হযরত মীকাইল ( আঃ )
- 【4】হযরত আজরাইল ( আঃ )
■ হযরত জিবরাঈল ( আঃ ) এর পরিচিতি ।
ওহী নাযিল করার দায়িত্ব ছিল হযরত জিবরাঈল (আঃ) এর কাজ। হযরত জিবরাঈল ( আঃ) কে বলা হয় সকল ফেরেশতা গনের সরদার। তিনার নাম তিনবার কুরআন শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআনে তাকে পবিত্র আত্মা বা রুহুল কুদুস বলা হয়েছে। আল্লাহর আদেশ-নিষেধ এবং সংবাদ আদান-প্রদান যেসব ফেরেশতার দায়িত্ব, জিব্রাইল তাদের প্রধান। বলা হয়, জিব্রাইল-ই আল্লাহর নবীদের বা বাণীবাহকদের কাছে ওহী পৌছিয়ে দিতেন।
■ হযরত ইসরাফিল ( আঃ ) এর পরিচিতি ।
হযরত ইসরাফীল (আঃ) এর দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ ক্রমে শিঙায় ফুৎকার দেয়া। এবং তিনাকে এই কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আর এই কাজটি করা হবে পৃথিবী ধ্বংসের দিন অর্থাৎ কেয়ামতের দিন। এই দিন সকাল থেকেই যথাক্রমে তিনবার ফু দেওয়া হবে তখনই পুরো পৃথিবীসহ পুরো জগত চন্দ্র সূর্য আকাশ গ্রহ নক্ষত্র সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে। তার নাম কুরআন শরীফে নেই কিন্তু হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।
■ হযরত মীকাইল ( আঃ ) এর পরিচিতি ।
হযরত মীকাঈল ফেরেশতার কাজ হচ্ছে তিনি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অনুযায়ী বৃষ্টি বর্ষণ করান, উদ্ভিদ উৎপাদন, প্রভৃতি কাজে নিয়োজিত। কুরআনে এই ফেরেশতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
■ হযরত আজরাইল ( আঃ ) পরিচিতি ।
প্রাণীকুলের জান কবজের কাজে নিয়োজিত ফেরেশতা হলো মালাকুল মাওত হযরত আজরাঈল ( আঃ )। কুরআনে মালাক আল-মাউত নামে অভিহিত করা হয়েছে হযরত আজরাইল ( আঃ ) কে।