- A আব্দুল মুত্ত্বালিবকে এবং সাথে মুহাজিরদের আটজনকে
- B সা‘দ বিন আবু ওয়াকক্বাছকে এবং সাথে মুহাজিরদের আটজনকে
- C আবদুল্লাহ ইবন জাহশ আল-আসাদীকে এবং সাথে মুহাজিরদের আটজনকে
- Share this MCQ
এই সুযোগে আমরা বিশেষভাবে ‘আবদুল্লাহ ইবন জাশ (রা)-এর সারিয়্যার কথা উল্লেখ করব। এই সারিয়্যা সম্পর্কে একটি আয়াতও নাযিল হয়েছিল। অধিকন্তু এ থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ হাকীকতের ওপরও আলোকপাত ঘটবে যে, কুরআন মজীদ "মুসলমানদের কোন অন্যায়-বিচ্যুতি ও ভুলকে সমর্থন করে না, বরং সে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও দল সম্পর্কে কোন ফয়সালা দেবার ও রায় কায়েম করবার ক্ষেত্রে ইনসাফের তুলাদণ্ডে প্রতিটি কাজ ওজন করে।
রাসূলুল্লাহ (সা) দ্বিতীয় হিজরীর রজব মাসে ‘আবদুল্লাহ ইবন জাহশ আল-আসাদীকে একটি অভিযানে প্রেরণ করেন এবং সাথে মুহাজিরদের আটজনকে পাঠান। তিনি তাকে একটি লিখিত পত্র দেন এবং নির্দেশ দেন যে, এই পত্র এখন খুলবে না। দু'দিনের পথ অতিক্রম করার পর পত্র খুলবে এবং পাঠ করবে। এরপর পত্রোল্লিখিত নির্দেশ পালন করবে, কিন্তু সাথীদের কাউকে সেই নির্দেশ পালনে বাধ্য করবে না ।
মদীনায় তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা)-র সামনে হাযির হতেই তিনি তাঁদেরকে বলেন, আমি তোমাদেরকে সম্মানিত মাসে যুদ্ধ করতে তো বলিনি? এরপর তিনি তাঁদের আনীত কোন জিনিস গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, যা তারা যুদ্ধলব্ধ সম্পদ (গনীমত) হিসেবে এনেছিল।
রাসূলুল্লাহ (সা) যখন তাঁদেরকে এ কথা বললেন, তখন তো তাঁদের হাত-পা ফুলতে শুরু করল এবং তাঁদের আশঙ্কা হল যে, এখন তাঁদের ধ্বংস সুনিশ্চিত। অপরদিকে মুসলমানরাও তাঁদের খুব ভাল-মন্দ বলল এবং ভর্ৎসনা করল। কুরায়শরা বলল, নাও! মুহাম্মাদ তো সম্মানিত ও নিষিদ্ধ মাসেও যুদ্ধ-বিগ্রহ ও রক্তপাত জায়েয করে দিল। এ সময় আল্লাহ তা'আলা নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল করলেন :
"সম্মানিত মাস সম্পর্কে তোমাকে জিজ্ঞেস করে যে, তাতে যুদ্ধ করা কেমন? বলে দাও, এতে যুদ্ধ করা ভীষণ বড় পাপ। আর আল্লাহ্র পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা ও কুফরী করা, মসজিদুল-হারামের পথে বাধা দেয়া ও সেখানকার অধিবাসীদেরকে বহিষ্কৃত করা আল্লাহ্র নিকট তার চেয়েও বড় পাপ। আর ফেতনা হত্যা অপেক্ষাও মহাপাপ” (সূরা বাকারা, ২১৭ আয়াত)।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 230]Share this MCQ