- A আমর ইবন আবদুদও
- B আব্দুল্লাহ ইবনু আবী ‘আওফা
- C সা‘দ বিন মু‘আয
- Share this MCQ
কাফির ও মুসলিম বীরের শক্তি পরীক্ষা রাসূলুল্লাহ (সা) ও তাঁর সাথে সমস্ত মুসলমানই সেখানে (ছাউনি ফেলে) অবস্থান করলেন । দুশমন তাঁদেরকে অবরোধ করে রেখেছিল, কিন্তু অবস্থা তখনও যুদ্ধ পর্যন্ত গড়ায়নি। অবশ্য শত্রুর দুই-একজন অশ্বারোহী সৈনিক ঘোড়া ছুটিয়ে সামনে অগ্রসর হয়েছে এবং খন্দক প্রান্তে এসে থেমে গেছে। তারপর গভীর খন্দকদৃষ্টে বলাবলি করেছে যে, এ যে দেখছি এক নতুন কৌশল, নতুন জাল বিছানো হয়েছে, এরা যার সঙ্গে পরিচিত নয়। এরপর এভাবে তাদেরই একটি দল খোঁজ করতে করতে এমন এক জায়গায় গিয়ে পৌঁছে যেখানে খন্দকের প্রশস্ততা খুবই কম ছিল। সেখানে পৌছে তারা ঘোড়ার পাঁজরে গুঁতা মারতেই ঘোড়া এক লাফে খন্দক পেরিয়ে চলে এল এবং মদীনার ভূখণ্ডে দৌঁড়ে বেড়াতে লাগল । এই দলের মধ্যে আরবের প্রখ্যাত অশ্বারোহী বীর আমর ইবন আবদুদও ছিল যাকে এক হাজার অশ্বারোহী সৈনিকের সমকক্ষ গণ্য করা হত। সে এক স্থানে থেমে হাঁক ছাড়ল : আছে এমন কেউ যে আমার মুকাবিলা করবে? এতদশ্রবণে হযরত আলী (রা) তার সামনে এগিয়ে গেলেন এবং বললেন : আমর! তুমি আল্লাহ্র সঙ্গে অঙ্গীকার করেছিলে যে, কুরায়শদের কেউ তোমাকে দু'টো বিষয়ে দাওয়াত দিলে তার একটি তুমি অবশ্যই কবুল করবে। 'আমর স্বীকার করল এবং বলল, হ্যাঁ, আমি এ কথা বলেছিলাম। হযরত আলী (রা) বললেন : ঠিক আছে। আমি তোমাকে আল্লাহ্, তদীয় রাসূলের ও ইসলামের দাওয়াত দিচ্ছি। সে বলল : আমার এর কোন প্রয়োজন নেই। হযরত আলী (রা) বললেন : তাহলে আমি তোমাকে মুকাবিলার দাওয়াত দিচ্ছি। সে তখন বলতে লাগল : ভাতিজা আমার! আল্লাহর কসম! আমি তোমাকে হত্যা করতে চাই না। হযরত আলী (রা) বললেন : কিন্তু আল্লাহ্র কসম! তোমাকে আমি অবশ্যই হত্যা করতে চাই।
[তথ্যসূত্র: নবীয়ে রহমত - সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম - সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী - আবু সাঈদ মুহাম্মদ ওমর আলী অনূদিত - পৃষ্ঠা নম্বর: 272]
Share this MCQ