রক্তাল্পতা
রক্তাল্পতা
রক্তের লোহিতকণিকায় হিমোগ্লোবিন কম থাকার দরুন রক্তাল্পতা রোগ হয়। দেহের সমস্ত অঙ্গে ও পেশিতে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার জন্য হিমোগ্লোবিনের প্রয়োজন হয়। রক্তাল্পতার ফলে শরীরের প্রধান অঙ্গগুলো অক্সিজেনশূন্য হয়ে পড়ে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। রক্তাল্পতায় আক্রান্ত ছেলে বা মেয়ে সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে বা হাঁপিয়ে ওঠে। এই ধরনের ছেলেমেয়েরা বারেবারে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রক্তাল্পতা মারাত্মক আকার ধারণ করলে সংক্রমণ | অথবা হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার দরুন মৃত্যুও হতে পারে।
রক্তাল্পতার প্রধান প্রধান কারণগুলো হলো :
১) খাদ্যতালিকায় লৌহজাত উপাদানের স্বল্পতা।
২) বক্রকৃমি, গোলকৃমি, সুতাকৃমি প্রভৃতির সংক্রমণ।
৩) ম্যালেরিয়া, আমাশয়, মলে রক্তের উপস্থিতি প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়া ।
চিহ্ন ও পূর্ব লক্ষণ :
১) নখ, জিভ ও নীচের ঠোঁট এবং চোখের পাতার কোল ফ্যাকাশে হয়ে যায় ।
২) অতি অল্প পরিশ্রমেই শ্বাসকষ্ট হয়।
৩) কখনো-কখনো হাত, পা ও শরীর ফুলে যেতে পারে।
৪) কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাচ্চাদের মধ্যে খড়ি ও মাটি খাবার প্রবণতা দেখা দেয়।
কী করতে হবে :
১) সবুজ শাকসবজি, বিশেষ করে পালং, নটেশাক, বরবটি, মটরশুঁটি, মাংস, মাছ, মুরগির মাংস খেতে হবে।
২) অবিলম্বে তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠাতে হবে।
৩) খাদ্যতালিকায় সবুজ পাতাযুক্ত শাকসবজি, ডাল, চিনাবাদাম, গুড়, ছোলাসেদ্ধ ও তালমিছরি ইত্যাদি প্রয়োজনমতো রাখতে হবে।
৪) অতিরিক্ত লৌহসেবন শরীরে নানারকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
৫) কৃমি সংক্রমণ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৬) খালি পায়ে হাঁটবে না ও সেনিটারি পায়খানা ছাড়া কোনো অবস্থায় খোলা জায়গায় মলত্যাগ করবে না।
৭) লৌহ ও ফলিক অ্যাসিডযুক্ত ট্যাবলেট খেতে হবে।